পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইটাচুনা রাজবাড়ি

ছবি
ইটাচুনা রাজবাড়ী পশ্চিমবাংলার আনাচেকানাচে ছড়িয়ে আছে কত ইতিহাস । এইসব ইতিহাসের  শাক্ষী বহন করে আছে কত প্রাসাদ, ইমারত, কত প্রাচীর রাজবাড়ি , মন্দির, মজিদ , কেল্লা আরো কত কি । আজো কান পাতলে এইসব প্রাসাদের আনাচেকানাচে শোনা যায় অতীতের কত সুখ-দুঃখের  কাহিনী । সেইরকমই এক অতীতের সাক্ষী বহনকারী রাজবাড়ি হল হুগলির ইটাচুনা রাজবাড়ি । এই বাড়িটি বহনকরে চলেছে  ইতিহাসের বহু শাক্ষ ।  ১৭৬৬ সালে বর্গীরাজ কুন্দ্রারা ইটাচুনা রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠা করেন । এই কুন্দ্রা থেকেই পরবর্তীকালে কুন্ডুর সৃষ্টি । স্থানীয় মানুষেরা এই রাজবাড়ি টিকে বর্গীডাঙা বা বর্গীদের রাজবাড়িও বলে থাকেন । সবুজ মেঠো পথে কিছুদূর যাওয়ার পর রাজবাড়ির বিশাল ফটক । ফটক পেরিয়ে  ভিতরে পা দিলে শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে  মন এক ভালোলাগায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় । যদিও আজ আর সেকালের জৌলুস, লোকলস্কর কিছুই আর এখন অবশিষ্ঠ নেই । তবুও কড়িবরগার উচু উচু ছাদ, বহু পুরনো বাড়ির প্রাচীনত্বের গন্ধ, বিশাল নাটমন্দির, প্রাঙ্গন জুড়ে বিশাল বিশাল বাতিস্তম্ভ, প্রকান্ড ঝাড়বাতি দিয়ে সাজান বিরাট বৈঠকখানা নিয়ে যায় ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যা...

রায়বাঘিনী রানী ভবশঙ্করী

ছবি
  পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষের কাছে ভবশঙ্করী নামটা খুব একটা পরিচিত নয় ।  কিন্তু এই ভুরীশ্রেষ্ঠ রানী ছিলেন একজন বীরাঙ্গনা মহিলা ।  রানী ভবশঙ্করী জন্মসূত্রে ছিলেন ভুরীশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যের দুর্গরক্ষক দীননাথ চৌধুরীর কন্যা । এই ভুরীশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্য বর্তমানে হাওড়া হুগলি জেলার অন্তর্গত । ছোট বেলাতেই ভবশঙ্করী পিতার কাছে অস্ত্র শিক্ষা পান এবং পরবর্তীকালে ভুরীশ্রেষ্ঠের পন্ডিতদের কাছ থেকে রাজনীতি, দর্শন, ধর্মশাস্ত্র, সমাজতন্ত্র প্রভৃতি সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করেছিলেন । এরপর স্বাধীনচেতা, যোদ্ধা ভবশঙ্করীর মায়ের মৃত্যুর পরে তার পিতা তাকে ভুরীশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যের রাজা রুদ্রনারায়নের সঙ্গে বিবাহ দিয়ে দেন । তারপরেই  ভবশঙ্করী পরিচিত হন রানী ভবশঙ্করী নামে । তিনি ছিলেন দেবী চন্ডীর ভক্ত । সেই জন্য বিবাহের পরেই তিনি রাজপ্রাসাদের পাশে দেবী চন্ডীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি রোজই ভক্তি সহকারে দেবী চন্ডীরথ পূজা করতেন । সেই কারনে আজও হাওড়া এবং হুগলি জেলায় বেতাই চন্ডী ও মেলাই চন্ডীর পূজা  হয়ে থাকে । এছাড়াও রানী ভবশঙ্করী ভুরীশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যের সুরক্ষা ব্যবস্থার দিকে দিকে বিশেষ ভাব...

যোধা বাঈয়ের সঙ্গে সম্রাট আকবরের সম্পর্ক কি ছিল? যোধা কি সত্যি সম্রাট আকবরের বেগম ছিলেন ? প্রকৃত সত্য কি ??

ছবি
 মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে রাজপুত  রাজকন্যা যোধা বাঈকে  নিয়ে অনেক মধুর প্রেমের গল্পতো আমরা সিনেমায় বা সিরিয়ালে দেখেছি । কিন্তু সম্রাট আকবরের সঙ্গে যোধা বাঈয়ের সত্যিই কি কোনো সম্পর্ক ছিল?  হ্যাঁ ছিল!  তবে সম্রাট আকবরের স্ত্রী কোন কালেই ছিলেন  না তিনি । তিনি ছিলেন সম্রাট আকবরের পুত্রবধূ এবং সম্রাট জাহাঙ্গীরের দ্বিতীয় স্ত্রী ও সম্রাট শাহজাহানের গর্ভধারিণী । যিনি   ছিলেন জয়পুরের অম্বর রাজবংশের কন্যা   এবং মুঘল রাজমাতা , যার নাম বিবাহ পরবর্তীতে হয় মরিয়ম- উজ-জামানি । তাঁর জন্ম ১৫৭৩ সালে । রাজপুত পরিবারে যার নাম ছিল  মানমতি বাঈজী লাল । পিতা উদয় সিং এবং মাতা রানী মানরং দেবী । এরপরে ১৫৮৬ সালে ১৬ বছরের যুবরাজ সেলিমের সঙ্গে ১৩ বছরের মানমতির বিয়ে হয় । এই বিয়ে হিন্দু এবং মুসলিম দুই রীতি অনুযায়ী হয়েছিল এবং প্রচুর জাঁকজমক করে  সম্পন্ন হয় ।  এটি  ছিল  সেলিম তথা জাহাঙ্গীরের দ্বিতীয় বিবাহ । এর পরবর্তীকালে ১৫৯২ সালে  মানমতি অর্থাৎ যোধা বাঈয়ের ( যোধপুর থেকে এসেছেন তাই) গর্ভে জন্মগ্রহন করে এক পুত্র সন্তান ...

রহস্যের নাম কুলধারা/ ভৌতিক শহর কুলধারা

ছবি
 রাজস্থানের একটি পরিত্যক্ত শহরের নাম কুলধারা । অতীতে এই নগরীতে ছিল লোকলস্করে পরিপূর্ন । কিন্তু কোনো এক রহস্যজনক কারনে কুলধারা পরিত্যক্ত নগরীতে পরিনত হয় । কি সেই কারন ? যার জন্যে   সারি সারি  বাড়ি-ঘর - রাস্তাঘাট- মন্দির ছেড়ে  মানুষ রাতারাতি চলে যায় ! পড়ে থাকে শুধু এই অতীতের সাক্ষী বহনকারী পরিত্যক্ত জনপদ । শুধু যেখানে থাকার জন্য মানুষ নেই । থর মরুভূমির পাশের এই নগরীর পত্তন হয়েছিল ত্রয়োদশ শতকে ।যোধপুরের পালিওয়াল সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মণরা তাদের বসতি স্থাপন করেছিলেন । তাঁরা কৃষিকাজ এবং ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন ।  ১৮৯৯ সালে রচিত  বই " তারিখ-ই-জয়সলমের" এ উল্লেখ করা হয় যে, কড়হান নামে এক পালিওয়াল ব্রাহ্মণ সেখান প্রথম বসতি স্থাপন করেছিলেন । নগরীর ধ্বংসস্তূপে পাওয়া যায় তিনটি সমাধিক্ষেত্র এবং ৬০০ -বেশি বাড়ির ভগ্নাবশেষ । কুলধারা -সহ স্থানীয় ৮৩ টি গ্রাম নিয়ে  জনপদটি গড়ে উঠেছিল ।  জনশ্রুতি আছে ১৮২৫ সালে রাখিপূর্ণিমার রাতে জনশূন্য হয়ে পড়ে  নগরটি । রাতারাতি কর্পূরের মতো মিলিয়ে যায় ১৫০০ গ্রামবাসীরা । স্থানীয়দের মধ্যে জনশ্রুতি আছে,  কু...

পোম্পেইয়ের ইতিহাস( প্রায় ২০০০ বছর আগের নগরীর ধ্বংসের কারন কি ?)

ছবি
 পোম্পেই ছিল একটি ভূমিকম্প প্রবন এলাকা । বছরে দুই থেকে চারবার ভূমিকম্প দেখা যেত পোম্পেইয়ে । আর সেই জন্যই পোম্পেইবাসী ভূমিকম্পের জন্যে কোনো সতর্কতা অবলম্বন করতো না। ৬২ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি ইতালি কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে ।যায় ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পোম্পেই ।ইতিহাসবিদদের মতে এর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে আনুমানিক ৬।  ওদিকে ৫ ফেব্রুয়ারি পোম্পেইয়ের জাতীয় দিবস । ঐ দিন অগাস্টাস সিজার কে জাতির জনক ঘোষনা করা হয়েছিল । সেই উপলক্ষে নগরীর রাস্তায় রাস্তায় চলছিল উৎসবের প্রস্তুতি এবং আতশবাজি, রং আর তেলের বাতিতে নগর সাজানো হয়েছিল । কিন্তু নগরীর প্রাঙ্গণে ঠিক উৎসব শুরু হওয়ার মূহূর্তে ভূমিকম্প সবকিছু ওলট-পালট করে দেয় । ভেঙে পড়তে থাকে বড়ো বড়ো স্থাপত্য । জনতার মধ্যে ত্রাস ছড়িয়ে পড়ে । ফলে তাদের মধ্যে বিশৃ‍ঙ্খলা দেখা দেয় এবং আতশবাজির বিষাক্ত রাসায়নিকের কারণে বিস্ফোরণ ঘটার ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়।  এর ১৬ বছরের মাথায় ভিসুভিয়ায় অগ্ন‍্যুৎপাত শুরু হয় আর সেই অগ্ন্যুৎপাতে ৭৯ সালের ২৪ শে আগস্ট ধ্বংস হয়ে যায় পোম্পেই নগরী , আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে । ১৫৯৯ সালে সারোনা নদীর গতিপথ তৈরির ইঞ্জিনিয়...