পোস্টগুলি

Kolkata's Some Memorable Horror Place ( কলকাতার কিছু বিখ্যাত ভূতুড়ে স্থান )

ছবি
                          কলকাতার কিছু বিখ্যাত ভূতুড়ে স্থান :          ভূতের গল্প শুনতে আমরা প্রত্যেকেই কমবেশি ভালোবাসি । কিন্তু আমরা এটা হয়তো অনেকেই জানি না, আমাদের কলকাতাতেই এমন অনেক বিখ্যাত ভূতড়ে বাড়ি রয়েছে যেগুলোতে সন্ধ্যার পর অস্বাভাবিক ঘটনার সম্মূখীন হয়েছেন অনেক মানুষই । আজ সেরকমই কয়েকটি ভূতড়ে বাড়ির কথাই বলবো- কলকাতা ন্যাশনাল লাইব্রেরী:  কলকাতা ন্যাশনাল লাইব্রেরীকে ঘিরে অনেক রকম ভৌতিক গল্প শোনা যায় । যারা এখানে বই পড়তে যান , তাদের অনেকেই নাকি ঘাড়ের কাছে অদৃশ্য কারোর নিঃশ্বাস অনুভব করেছেন । নিস্তব্ধ দুপুরে বা নিঝুম রাতে কোন অশরীরির হেঁটে বেড়ানোর শব্দ শুনতে পাওয়া যায় । কখনো কখনো নাকি লাইব্রেরীর বল ডান্সের ঘর থেকে ভেসে আসে কনসার্টের সুর । লাইব্রেরীর কর্মীদের কাছ থেকে জানা যায় যে,  লর্ড মেডক্যাফের স্ত্রীর অতৃপ্ত আত্মা নাকি আজো ঘুরে বেড়ায় লাইব্রেরীর আনাচে-কানাচে ।  হেস্টিংস হাউস : ওয়ারেন হেস্টিংসের তৈরি এক সময়ের গভর্নর হাউস ছিল এই বাড়িটি । আলিপু...

রঘু ডাকাত ও তার ডাকাত কালীর মন্দিরের ইতিহাস

ছবি
                        রঘু ও তার ডাকাত কালী                                            মন্দিরের ইতিহাস আজ থেকে প্রায় পাঁচশো বছরের প্রাচীন এই ডাকাত কালীর মন্দির । এই মন্দিরের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে কত রহস্য, রোমহর্ষক  কাহিনী । বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বারাসাতের কাজীপাড়া অঞ্চলে এই ভগ্নপ্রায় মন্দিরটি অবস্থিত । জনশ্রুতি আছে, এক সময় এই অঞ্চলটি ছিল গভীর জঙ্গলে ঘেরা । জনমানবহীন এই গভীর জঙ্গলেই ছিল রঘু ডাকাতের ডেরা । সেসময় মন্দিরটিতে প্রতিষ্ঠিত ছিল অষ্টধাতুর কালী মূর্তি । রঘু ডাকাত এই মন্দিরের অষ্টধাতুর কালী মূর্তিকে পূজো করে ডাকাতি করতে যেত তার ডাকাতদল নিয়ে । লোকমুখে শোনা যায়, একবার বৃটিশ পুলিশের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ায়, রাগে তরোয়াল দিয়ে রঘু ডাকাত মূর্তি ভেঙে দেয় এবং তারপর থেকে সেই ভাঙা মূর্তিতেই পূজো হত। কিন্তু সেই ভাঙা মূর্তি চুরি হয়ে যাওয়ার পর থেকে মন্দির লাগোয়া বটগাছকেই কালী রূপে পূজো করার রীতি  চলে...

ভূতচতুর্দশী

ছবি
বহু প্রাচীনকাল থেকেই ভূতের সঙ্গে বাঙালি জাতির সম্পর্ক নিবিড়ভাবে  জড়িয়ে আছে । বহু গল্প, কবিতা,উপন্যাসের মাধ্যমে ভূত হয়ে উঠেছে বাঙালির  জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ । আর বাঙালি জাতির কাছে ভূতচতুর্দশী হল একটা  বিশেষ দিন । এই বিশেষ দিনটাতে বাঙালিরা মনে করেন ভূতেরা আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় । সেইজন্যে ভূতেদের হাত থেকে রক্ষা পেতে  বাঙালিরা এই দিনটিতে চোদ্দো শাক খান,  চোদ্দো পুরুষের জন্য জল দেন, চোদ্দোটি প্রদীপ জ্বলিয়ে এই দিনটিকে পালন করেন  , সেই অতীতকাল  থেকেই এই রীতি প্রচলিত ।  কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর দিন ভূতচতুর্দশী পালন করা হয় অথাৎ কালি পূজোর আগের দিন । বাঙালিদের এই রীতির সঙ্গে পাশ্চাত্যের একটি রীতির খুব সাদৃশ্য দেখা যায় । যা  'Halloween ' রীতি নামে পরিচিত । সে যাইহোক, এই ভূতচতুর্দশী আসলে কি?  এর পৌরাণিক ব্যাখাই বা কি ? সত্যিই কি এই ভূতচতুর্দশীর সাথে কোন ভূতের সম্পর্ক আছে?  না ভূতচতুর্দশীর সাথে ভূতের বিশেষ সম্পর্ক নেই । এর পিছনে যে পৌরাণিক কাহিনীটি আছে তা হল -  স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু বামনরূপে এসে  ...

ইটাচুনা রাজবাড়ি

ছবি
ইটাচুনা রাজবাড়ী পশ্চিমবাংলার আনাচেকানাচে ছড়িয়ে আছে কত ইতিহাস । এইসব ইতিহাসের  শাক্ষী বহন করে আছে কত প্রাসাদ, ইমারত, কত প্রাচীর রাজবাড়ি , মন্দির, মজিদ , কেল্লা আরো কত কি । আজো কান পাতলে এইসব প্রাসাদের আনাচেকানাচে শোনা যায় অতীতের কত সুখ-দুঃখের  কাহিনী । সেইরকমই এক অতীতের সাক্ষী বহনকারী রাজবাড়ি হল হুগলির ইটাচুনা রাজবাড়ি । এই বাড়িটি বহনকরে চলেছে  ইতিহাসের বহু শাক্ষ ।  ১৭৬৬ সালে বর্গীরাজ কুন্দ্রারা ইটাচুনা রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠা করেন । এই কুন্দ্রা থেকেই পরবর্তীকালে কুন্ডুর সৃষ্টি । স্থানীয় মানুষেরা এই রাজবাড়ি টিকে বর্গীডাঙা বা বর্গীদের রাজবাড়িও বলে থাকেন । সবুজ মেঠো পথে কিছুদূর যাওয়ার পর রাজবাড়ির বিশাল ফটক । ফটক পেরিয়ে  ভিতরে পা দিলে শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে  মন এক ভালোলাগায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় । যদিও আজ আর সেকালের জৌলুস, লোকলস্কর কিছুই আর এখন অবশিষ্ঠ নেই । তবুও কড়িবরগার উচু উচু ছাদ, বহু পুরনো বাড়ির প্রাচীনত্বের গন্ধ, বিশাল নাটমন্দির, প্রাঙ্গন জুড়ে বিশাল বিশাল বাতিস্তম্ভ, প্রকান্ড ঝাড়বাতি দিয়ে সাজান বিরাট বৈঠকখানা নিয়ে যায় ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যা...

রায়বাঘিনী রানী ভবশঙ্করী

ছবি
  পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষের কাছে ভবশঙ্করী নামটা খুব একটা পরিচিত নয় ।  কিন্তু এই ভুরীশ্রেষ্ঠ রানী ছিলেন একজন বীরাঙ্গনা মহিলা ।  রানী ভবশঙ্করী জন্মসূত্রে ছিলেন ভুরীশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যের দুর্গরক্ষক দীননাথ চৌধুরীর কন্যা । এই ভুরীশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্য বর্তমানে হাওড়া হুগলি জেলার অন্তর্গত । ছোট বেলাতেই ভবশঙ্করী পিতার কাছে অস্ত্র শিক্ষা পান এবং পরবর্তীকালে ভুরীশ্রেষ্ঠের পন্ডিতদের কাছ থেকে রাজনীতি, দর্শন, ধর্মশাস্ত্র, সমাজতন্ত্র প্রভৃতি সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করেছিলেন । এরপর স্বাধীনচেতা, যোদ্ধা ভবশঙ্করীর মায়ের মৃত্যুর পরে তার পিতা তাকে ভুরীশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যের রাজা রুদ্রনারায়নের সঙ্গে বিবাহ দিয়ে দেন । তারপরেই  ভবশঙ্করী পরিচিত হন রানী ভবশঙ্করী নামে । তিনি ছিলেন দেবী চন্ডীর ভক্ত । সেই জন্য বিবাহের পরেই তিনি রাজপ্রাসাদের পাশে দেবী চন্ডীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি রোজই ভক্তি সহকারে দেবী চন্ডীরথ পূজা করতেন । সেই কারনে আজও হাওড়া এবং হুগলি জেলায় বেতাই চন্ডী ও মেলাই চন্ডীর পূজা  হয়ে থাকে । এছাড়াও রানী ভবশঙ্করী ভুরীশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যের সুরক্ষা ব্যবস্থার দিকে দিকে বিশেষ ভাব...

যোধা বাঈয়ের সঙ্গে সম্রাট আকবরের সম্পর্ক কি ছিল? যোধা কি সত্যি সম্রাট আকবরের বেগম ছিলেন ? প্রকৃত সত্য কি ??

ছবি
 মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে রাজপুত  রাজকন্যা যোধা বাঈকে  নিয়ে অনেক মধুর প্রেমের গল্পতো আমরা সিনেমায় বা সিরিয়ালে দেখেছি । কিন্তু সম্রাট আকবরের সঙ্গে যোধা বাঈয়ের সত্যিই কি কোনো সম্পর্ক ছিল?  হ্যাঁ ছিল!  তবে সম্রাট আকবরের স্ত্রী কোন কালেই ছিলেন  না তিনি । তিনি ছিলেন সম্রাট আকবরের পুত্রবধূ এবং সম্রাট জাহাঙ্গীরের দ্বিতীয় স্ত্রী ও সম্রাট শাহজাহানের গর্ভধারিণী । যিনি   ছিলেন জয়পুরের অম্বর রাজবংশের কন্যা   এবং মুঘল রাজমাতা , যার নাম বিবাহ পরবর্তীতে হয় মরিয়ম- উজ-জামানি । তাঁর জন্ম ১৫৭৩ সালে । রাজপুত পরিবারে যার নাম ছিল  মানমতি বাঈজী লাল । পিতা উদয় সিং এবং মাতা রানী মানরং দেবী । এরপরে ১৫৮৬ সালে ১৬ বছরের যুবরাজ সেলিমের সঙ্গে ১৩ বছরের মানমতির বিয়ে হয় । এই বিয়ে হিন্দু এবং মুসলিম দুই রীতি অনুযায়ী হয়েছিল এবং প্রচুর জাঁকজমক করে  সম্পন্ন হয় ।  এটি  ছিল  সেলিম তথা জাহাঙ্গীরের দ্বিতীয় বিবাহ । এর পরবর্তীকালে ১৫৯২ সালে  মানমতি অর্থাৎ যোধা বাঈয়ের ( যোধপুর থেকে এসেছেন তাই) গর্ভে জন্মগ্রহন করে এক পুত্র সন্তান ...

রহস্যের নাম কুলধারা/ ভৌতিক শহর কুলধারা

ছবি
 রাজস্থানের একটি পরিত্যক্ত শহরের নাম কুলধারা । অতীতে এই নগরীতে ছিল লোকলস্করে পরিপূর্ন । কিন্তু কোনো এক রহস্যজনক কারনে কুলধারা পরিত্যক্ত নগরীতে পরিনত হয় । কি সেই কারন ? যার জন্যে   সারি সারি  বাড়ি-ঘর - রাস্তাঘাট- মন্দির ছেড়ে  মানুষ রাতারাতি চলে যায় ! পড়ে থাকে শুধু এই অতীতের সাক্ষী বহনকারী পরিত্যক্ত জনপদ । শুধু যেখানে থাকার জন্য মানুষ নেই । থর মরুভূমির পাশের এই নগরীর পত্তন হয়েছিল ত্রয়োদশ শতকে ।যোধপুরের পালিওয়াল সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মণরা তাদের বসতি স্থাপন করেছিলেন । তাঁরা কৃষিকাজ এবং ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন ।  ১৮৯৯ সালে রচিত  বই " তারিখ-ই-জয়সলমের" এ উল্লেখ করা হয় যে, কড়হান নামে এক পালিওয়াল ব্রাহ্মণ সেখান প্রথম বসতি স্থাপন করেছিলেন । নগরীর ধ্বংসস্তূপে পাওয়া যায় তিনটি সমাধিক্ষেত্র এবং ৬০০ -বেশি বাড়ির ভগ্নাবশেষ । কুলধারা -সহ স্থানীয় ৮৩ টি গ্রাম নিয়ে  জনপদটি গড়ে উঠেছিল ।  জনশ্রুতি আছে ১৮২৫ সালে রাখিপূর্ণিমার রাতে জনশূন্য হয়ে পড়ে  নগরটি । রাতারাতি কর্পূরের মতো মিলিয়ে যায় ১৫০০ গ্রামবাসীরা । স্থানীয়দের মধ্যে জনশ্রুতি আছে,  কু...