লকডাউন
লকডাউন
পূর্ণিমাদেবীর আজ কদিন শরীরটা খুব একটা ভালো যাচ্ছেনা। বয়সতো কম হলনা, এই পঁচাত্তর ছুঁই ছুঁই। আর সেভাবে শরীর চলে না। আজকাল হাতপা খুব কাঁপে, দু-পা চললেই হাঁপিয়ে পড়েন। চোখেও ভাল দেখেননা। তার উপর আজ দুদিন ঠিক মতো খাওয়াও জোটেনি। শরীরটা খুবই দূর্বল লাগছে। কোনো রকমে এই দুদিন দুটো করে মুড়ি-জল খেয়ে কেটেছে একবেলা করে। কিন্তু আজ তো ঘরে খাবারের এক কানাকড়িও নেই। এদিকে খিদেয় পেটে মোচড় দিচ্ছে। সকালে উঠে ঘরদোর টা বহু কষ্টে পরিষ্কার করে কোনো রকমে টাইমের কল থেকে এক বালতি খাওয়ার জল তুলে নিয়ে, একেবারে স্নান করে ঘরে ঢুকে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রনাম করে তার ঝুপরি ঘরের দোরের কাছে বসে, ভাবতে বসলেন যে আজকের দিনটা কিভাবে গুজরান হবে। কিন্তু ভেবেও কোনো কুলকিনারা পেলেন না। দুচোখ ভরে জল চলে এল । খিদের জালা যে বড়ো জালা! মনে মনে বললেন, "এই বুড়ো বয়সে কি না খেতে পেয়ে মরতে হবে ভগবান ?" এমনটা তো তাঁর সাথে হওয়ার কথা ছিলোনা? এখনতো নাতি-নাতনী, ছেলেপুলে নিয়ে সুখে থাকার কথা ছিল। তাঁর যখন বয়স কম ছিল শাশুড়িমা তো বলতেন, "বউমা তোমার তো কপালের খুব জোর, চার-চারটে ছেলে, কখনো ভাতের অভাব হবে না ।" হ্যাঁ তাঁর চার-চারটে ছেলেই বটে! তাদের বউবাচ্চা নিয়ে ভরা সংসারে মায়ের কোনো স্থান নেই ।তারা কেউ মায়ের খোঁজও রাখেনি। বছর দশেক আগে এই ভৈরবী মন্দির চত্বরে ছোট ছেলে সমু ফেলে রেখে চলে গেছিল । তারপর থেকে আর কেউ একবারো খোঁজ করেনি। আজও মনে পড়ে তার অল্প বয়সের কথা । তখন বড়ো ছেলে রাজু কলেজে পড়ে, মেজোছেলে রামু ইসকুল পাশ দিয়ে কি সব পরিক্ষা -টরীক্ষা দিয়েছে ইনজিনিয়ার না কি হবার জন্যে বাকি দুজনে মধ্যে মনু ইসকুল ফাইনাল দিয়েছে আর সব থেকে ছোট সমু আট কেলাসে পড়তো। রাজুদের বাবা তখন দিনরাত কারখানায় খেটে ছেলেদেরকে পড়িয়েছেন। তিনি বলতেন, বুঝলে রাজুর মা; ছেলেদেরকে একবার কষ্ট করে মানুষ করতে পারলে আর আমাদের চিন্তা কি? এরাই আমাদের বুড়ো বয়সের সহায় হবে ।
এরপর তো সব ছেলেরা সব চাকরি- বাকরি পেল। বিয়ে করে নিজের নিজের মতো সংসার পাতলো। এদিকে ওদের বাবাও গত হয়েছেন, কারখানার অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে তার শরীরে কিছু ছিলোনা। তাই দুদিনের জ্বরে এক রকম বিনা ডাক্তার-বদ্যি তে মারা গেলেন। তিনি তো মারা গিয়ে বেঁচে গেলেন। কিন্তু তিনি স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর জন্যে কিছু রেখে যেতে পারেননি। ভেবেছিলেন ছেলেরা দেখবে।
"কিন্তু ছেলেরা কেন দেখবে?"
তাদের বউরা শাশুড়ীকে ভাত দিতে অস্বীকার করলো।
তিনি ভালোই বুঝতে পারছিলেন, ছেলে- ছেলের বউরা তাকে দুবেলা দুমুঠো ভাত দিতে রাজি নয়। কিন্তু তার তো কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিলোনা। তাই ছেলের বউদের মুখঝামটা শুনেও দুবেলা দুমুঠো ভাতের জন্যে পড়েছিলেন ।
তারপর একদিন ছোট ছেলে সমু ডেকে বলল, " মা চলো তোমাকে তীর্থে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। তুমিতো কোথাও সেভাবে যাওনি।"
ছেলের কথায় তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। তারপর এই ভৈরবী মন্দির চত্বরে বসিয়ে ফুলমিষ্টি কেনার নাম করে সেইযে গেল, আর এলোনা। এদিকে সকাল থেকে সন্ধ্যে হয়ে গেল। ছেলে আর এলোনা!
এতোখন তাকে থাকতে দেখে , তারই মতো বয়সের একটা ভিখারিনী তাকে দেখে বলল, "কিরে তোর ছেলে বসিয়ে রেখে চলে গেছেতো? ও আর আসবে না। একসময় আমার ছেলে আমাকেও এরকম ভাবে ফেলে রেখে চলে গেছিল। "
কথাটা শুনে পূর্ণিমাদেবীর কেঁদে ফেলেছিলেন। তাই দেখে ভিখারিনীটি বলল," অতো কান্নাকাটি করিসনাতো। কেঁদে কি হবে? তোর ছেলে কি তোকে নিতে আসবে? তাহলে কি আর তোকে এভাবে ফেলে রেখে যেত? তার থেকে বরং আমার ঝুপরিতে চল। এই মন্দিরের পিছনের দিকে আমি একটা ঝুপরি ঘর তৈরি করে থাকি আর সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত এখানে বসে ভিক্ষা করি । তাই দিয়ে আমার ভাতের জোগাড় হয়ে যায়। তুইও নাহয় আমার সঙ্গে থাকিস আমার ঝুপরিতে আর আমার মতো ভিক্ষে করে খাস।"
তাও বছর দশেক হল। তিনি এই ঝুপরিতে বাস করছেন সেই থেকে। বছর তিনেক আগে সেই ভিখারিনী বিমলাও মারা গেল। তারপর থেকে তিনি একাই বাস করছেন এই ঝুপরি ঘরে। তিনি বসে বসে ভাবতে লাগলেন , তিনি কোন ঘরের মেয়ে-বউ ছিলেন ! আর এখন তার কিভাবে দিন কাটছে? তবুওতো, কোনো রকমে দিন কেটে যাচ্ছিলো ভিক্ষে করে খেয়ে । কিন্তু কি সব ভাইরাস নাকি কিসব এসেছে। তার জন্যে ঘর থেকে কেউ বেরোচ্ছেনা আর পুলিশও কাউকে বেরোতে দিচ্ছেনা। কিসব লকডাউন না কিসব বলছে সব। তিনি এতোকিছু বোঝেন না । তিনি শুধু এটুকুই বুঝেছেন এই সময় তাকে কেউ ভিক্ষে দিচ্ছেনা। দুমুঠো ভাতের জালায় বড়ো কষ্ট পাচ্ছেন তিনি। পেটের জালা যে বড়ো জালা! ভিক্ষে করে যে কটা টাকা জমিয়েছিলেন সব এই একমাসে একবেলা ভাতের জোগাড় করতে শেষ হয়ে গেছে। তারমধ্যে পাড়ার ছেলেরা পয়লা বৈশাখের দিন চাঁদা তুলে তার মতো গরিব মানুষের জন্যে বাড়ি বাড়ি চালডাল,মুড়ি দিয়েছিল বলে কোনো রকমে এই কটাদিন চলেছে। কিন্তু আজ খাবেনকি? অনেক ভেবেচিন্তে কূলকিনারা করতে পারলেননা। দুচোখে জল চলে এল ক্ষিদের জালায়।
হঠাৎ তার মনে পড়লো, মন্দিরের পাশের ডোবায় কিছু কলমী হয়ে আছে। কলমী সেদ্ধ করে খেলেও তো হয়।
তিনি কলমী তুলে ঘরে ফেরার পথে পাড়ার বাসিন্দা অমিত দত্তের সাথে দেখা হওয়ায়, সে বলল, "কি মাসি আজ বুঝি কলমীর ঝোল হবে?"
"হ্যাঁ বাবা! এগুলো সেদ্ধ করে খাব। " তিনি বললেন।
কি ভেবে অমিত বলল, "মাসি একটু দাঁড়াও। "- বলে নিজের দুই প্যাকেট খুলে কিছুটা চালডাল,আলু ,একটা বিস্কুটের প্যাকেট আর দুটো ডিমও দিল। "তুমি এগুলো খেও মাসি। আমি বাজার করে ফিরছিলাম, যাক তোমার সাথে দেখা হয়ে ভালোই হল।"
পূর্ণিমাদেবীর দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। তার মনে হল ঈশ্বর যেন আজ তার সামনে এই ছেলেটির বেশে দাঁড়িয়ে আছেন। মুখে শুধু এটুকুই বলতে পারলন, "বেঁচে থাক বাবা!"
পূর্ণিমাদেবীর আজ কদিন শরীরটা খুব একটা ভালো যাচ্ছেনা। বয়সতো কম হলনা, এই পঁচাত্তর ছুঁই ছুঁই। আর সেভাবে শরীর চলে না। আজকাল হাতপা খুব কাঁপে, দু-পা চললেই হাঁপিয়ে পড়েন। চোখেও ভাল দেখেননা। তার উপর আজ দুদিন ঠিক মতো খাওয়াও জোটেনি। শরীরটা খুবই দূর্বল লাগছে। কোনো রকমে এই দুদিন দুটো করে মুড়ি-জল খেয়ে কেটেছে একবেলা করে। কিন্তু আজ তো ঘরে খাবারের এক কানাকড়িও নেই। এদিকে খিদেয় পেটে মোচড় দিচ্ছে। সকালে উঠে ঘরদোর টা বহু কষ্টে পরিষ্কার করে কোনো রকমে টাইমের কল থেকে এক বালতি খাওয়ার জল তুলে নিয়ে, একেবারে স্নান করে ঘরে ঢুকে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রনাম করে তার ঝুপরি ঘরের দোরের কাছে বসে, ভাবতে বসলেন যে আজকের দিনটা কিভাবে গুজরান হবে। কিন্তু ভেবেও কোনো কুলকিনারা পেলেন না। দুচোখ ভরে জল চলে এল । খিদের জালা যে বড়ো জালা! মনে মনে বললেন, "এই বুড়ো বয়সে কি না খেতে পেয়ে মরতে হবে ভগবান ?" এমনটা তো তাঁর সাথে হওয়ার কথা ছিলোনা? এখনতো নাতি-নাতনী, ছেলেপুলে নিয়ে সুখে থাকার কথা ছিল। তাঁর যখন বয়স কম ছিল শাশুড়িমা তো বলতেন, "বউমা তোমার তো কপালের খুব জোর, চার-চারটে ছেলে, কখনো ভাতের অভাব হবে না ।" হ্যাঁ তাঁর চার-চারটে ছেলেই বটে! তাদের বউবাচ্চা নিয়ে ভরা সংসারে মায়ের কোনো স্থান নেই ।তারা কেউ মায়ের খোঁজও রাখেনি। বছর দশেক আগে এই ভৈরবী মন্দির চত্বরে ছোট ছেলে সমু ফেলে রেখে চলে গেছিল । তারপর থেকে আর কেউ একবারো খোঁজ করেনি। আজও মনে পড়ে তার অল্প বয়সের কথা । তখন বড়ো ছেলে রাজু কলেজে পড়ে, মেজোছেলে রামু ইসকুল পাশ দিয়ে কি সব পরিক্ষা -টরীক্ষা দিয়েছে ইনজিনিয়ার না কি হবার জন্যে বাকি দুজনে মধ্যে মনু ইসকুল ফাইনাল দিয়েছে আর সব থেকে ছোট সমু আট কেলাসে পড়তো। রাজুদের বাবা তখন দিনরাত কারখানায় খেটে ছেলেদেরকে পড়িয়েছেন। তিনি বলতেন, বুঝলে রাজুর মা; ছেলেদেরকে একবার কষ্ট করে মানুষ করতে পারলে আর আমাদের চিন্তা কি? এরাই আমাদের বুড়ো বয়সের সহায় হবে ।
এরপর তো সব ছেলেরা সব চাকরি- বাকরি পেল। বিয়ে করে নিজের নিজের মতো সংসার পাতলো। এদিকে ওদের বাবাও গত হয়েছেন, কারখানার অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে তার শরীরে কিছু ছিলোনা। তাই দুদিনের জ্বরে এক রকম বিনা ডাক্তার-বদ্যি তে মারা গেলেন। তিনি তো মারা গিয়ে বেঁচে গেলেন। কিন্তু তিনি স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর জন্যে কিছু রেখে যেতে পারেননি। ভেবেছিলেন ছেলেরা দেখবে।
"কিন্তু ছেলেরা কেন দেখবে?"
তাদের বউরা শাশুড়ীকে ভাত দিতে অস্বীকার করলো।
তিনি ভালোই বুঝতে পারছিলেন, ছেলে- ছেলের বউরা তাকে দুবেলা দুমুঠো ভাত দিতে রাজি নয়। কিন্তু তার তো কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিলোনা। তাই ছেলের বউদের মুখঝামটা শুনেও দুবেলা দুমুঠো ভাতের জন্যে পড়েছিলেন ।
তারপর একদিন ছোট ছেলে সমু ডেকে বলল, " মা চলো তোমাকে তীর্থে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। তুমিতো কোথাও সেভাবে যাওনি।"
ছেলের কথায় তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। তারপর এই ভৈরবী মন্দির চত্বরে বসিয়ে ফুলমিষ্টি কেনার নাম করে সেইযে গেল, আর এলোনা। এদিকে সকাল থেকে সন্ধ্যে হয়ে গেল। ছেলে আর এলোনা!
এতোখন তাকে থাকতে দেখে , তারই মতো বয়সের একটা ভিখারিনী তাকে দেখে বলল, "কিরে তোর ছেলে বসিয়ে রেখে চলে গেছেতো? ও আর আসবে না। একসময় আমার ছেলে আমাকেও এরকম ভাবে ফেলে রেখে চলে গেছিল। "
কথাটা শুনে পূর্ণিমাদেবীর কেঁদে ফেলেছিলেন। তাই দেখে ভিখারিনীটি বলল," অতো কান্নাকাটি করিসনাতো। কেঁদে কি হবে? তোর ছেলে কি তোকে নিতে আসবে? তাহলে কি আর তোকে এভাবে ফেলে রেখে যেত? তার থেকে বরং আমার ঝুপরিতে চল। এই মন্দিরের পিছনের দিকে আমি একটা ঝুপরি ঘর তৈরি করে থাকি আর সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত এখানে বসে ভিক্ষা করি । তাই দিয়ে আমার ভাতের জোগাড় হয়ে যায়। তুইও নাহয় আমার সঙ্গে থাকিস আমার ঝুপরিতে আর আমার মতো ভিক্ষে করে খাস।"
তাও বছর দশেক হল। তিনি এই ঝুপরিতে বাস করছেন সেই থেকে। বছর তিনেক আগে সেই ভিখারিনী বিমলাও মারা গেল। তারপর থেকে তিনি একাই বাস করছেন এই ঝুপরি ঘরে। তিনি বসে বসে ভাবতে লাগলেন , তিনি কোন ঘরের মেয়ে-বউ ছিলেন ! আর এখন তার কিভাবে দিন কাটছে? তবুওতো, কোনো রকমে দিন কেটে যাচ্ছিলো ভিক্ষে করে খেয়ে । কিন্তু কি সব ভাইরাস নাকি কিসব এসেছে। তার জন্যে ঘর থেকে কেউ বেরোচ্ছেনা আর পুলিশও কাউকে বেরোতে দিচ্ছেনা। কিসব লকডাউন না কিসব বলছে সব। তিনি এতোকিছু বোঝেন না । তিনি শুধু এটুকুই বুঝেছেন এই সময় তাকে কেউ ভিক্ষে দিচ্ছেনা। দুমুঠো ভাতের জালায় বড়ো কষ্ট পাচ্ছেন তিনি। পেটের জালা যে বড়ো জালা! ভিক্ষে করে যে কটা টাকা জমিয়েছিলেন সব এই একমাসে একবেলা ভাতের জোগাড় করতে শেষ হয়ে গেছে। তারমধ্যে পাড়ার ছেলেরা পয়লা বৈশাখের দিন চাঁদা তুলে তার মতো গরিব মানুষের জন্যে বাড়ি বাড়ি চালডাল,মুড়ি দিয়েছিল বলে কোনো রকমে এই কটাদিন চলেছে। কিন্তু আজ খাবেনকি? অনেক ভেবেচিন্তে কূলকিনারা করতে পারলেননা। দুচোখে জল চলে এল ক্ষিদের জালায়।
হঠাৎ তার মনে পড়লো, মন্দিরের পাশের ডোবায় কিছু কলমী হয়ে আছে। কলমী সেদ্ধ করে খেলেও তো হয়।
তিনি কলমী তুলে ঘরে ফেরার পথে পাড়ার বাসিন্দা অমিত দত্তের সাথে দেখা হওয়ায়, সে বলল, "কি মাসি আজ বুঝি কলমীর ঝোল হবে?"
"হ্যাঁ বাবা! এগুলো সেদ্ধ করে খাব। " তিনি বললেন।
কি ভেবে অমিত বলল, "মাসি একটু দাঁড়াও। "- বলে নিজের দুই প্যাকেট খুলে কিছুটা চালডাল,আলু ,একটা বিস্কুটের প্যাকেট আর দুটো ডিমও দিল। "তুমি এগুলো খেও মাসি। আমি বাজার করে ফিরছিলাম, যাক তোমার সাথে দেখা হয়ে ভালোই হল।"
পূর্ণিমাদেবীর দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। তার মনে হল ঈশ্বর যেন আজ তার সামনে এই ছেলেটির বেশে দাঁড়িয়ে আছেন। মুখে শুধু এটুকুই বলতে পারলন, "বেঁচে থাক বাবা!"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন